সুখের সমীকরণ

জীবনের জটিল অংকটা মিলুক সহজেই

গত কয়েক বছর যাবত আমি ভালো থাকা, জীবনজুড়ে থাকা আমার অসংখ্য প্রাপ্তির কথা ভুলে গিয়েছিলাম। সুখের সমীকরণ বইটা পড়া শুরু করার পর থেকে প্রতি পদে পদে বিষ্মিত হচ্ছি। ভেবেছিলাম হয়তোবা কোন মোটিভেশনাল বই। কিন্তু এই বইটি মোটিভেশন না। পুরো বই জুড়ে অসংখ্য তথ্য, ভালো থাকার সাইন্টিফিক পদ্ধতি দেওয়া। লেখক এর মেইন থিম, "হ্যাপিনেস মানে হল Accepting the unhappiness." আর এই আন-হ্যাপিনেসকে লাইফের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেনে নিয়ে কিভাবে ভালো থাকতে পারবো, তার অসংখ্য পদ্ধতি নিয়ে বইটি সাজানো।
কিভাবে emotion ম্যানেজ করা যায়, কিভাবে মেন্টাল স্ট্রেন্থ বাড়ানো যায়... ফ্যামিলি লাইফ, প্রফেশনাল লাইফ এডুকেশনাল লাইফ, রিলেশনশিপ এ সকল ক্ষেত্রে কি কি করলে আমরা ভালো থাকতে পারি সেকল পদ্ধতি নিয়ে এই বইটি লেখা।

সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে নিউরোপ্লাস্টিসিটি চ্যাপ্টাররা। যা আমার একদমই অজানা ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ বইটা পড়ে আমার মনের অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

Highly recommended this book.

Mirza Israt Jahan

Rokomari verified buyer

বইয়ের মূলকথা

যুগ পেরিয়েছে, শতাব্দী পেরিয়েছে, পেরিয়েছে মহাকাল; কারেন্সির ভাষা হয়ে উঠেছে সফলতার ভাষা, ক্যারিয়ারের ভাষা। আর এই কারেন্সির কাছে মানুষ ভুলে গেছে তার লাইফের আল্টিমেট কারেন্সির কথা। কারেন্সি দিয়ে মানুষ কিনতে চেয়েছে সব। কিন্তু সুখ? যার জন্য তার এতোকিছু, সেই সুখটাই রয়ে গেছে অধরা। অ্যারিস্টটল যাকে মানব জীবনের আসল অস্তিত্ব বলেছিলেন, সেই সুখ, হ্যাপিনেস নামক অনুভূতুটি মানুষ সোনার হরিণের মতো খুঁজে ফিরছে কেবল। না পেয়ে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে, সবচেয়ে বেশি ধনী হয়ে, সে ঘোষণা করেছে—”মানি কান্ট বাই হ্যাপিনেস!” কারেন্সি দিয়ে সে সব কিনতে পারেনি, কিন্তু আল্টিমেট কারেন্সি যে সুখ, সেটা আর্ন করলে মানুষ কিনতে পারতো সব। আর মানবজীবনের সেই আল্টিমেট কারেন্সিকে আর্ন করা এবং সুখ অর্জনের সায়েন্টিফিক স্কিলগুলোকে যুগান্তকারী মডেলের মাধ্যমে রপ্ত করার উপায় হলো “সুখের সমীকরণ” বইটি।”এই জীবনের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোকে দেখাও যায় না, স্পর্শও করা যায় না, এগুলো অবশ্যই হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।” হেলেন কেলারের এই কথা আপনার জীবনে বাস্তবতা পাক “সুখের সমীকরণ’ বইটির মাধ্যমে। পুরো বইয়ের কথাগুলো হৃদয় দিয়ে অনুভব করে শুরু হোক আপনার সুখময় জীবনের শান্তিময় যাত্রা।

মানুষের একদা বেচেঁ থাকার লড়াই একসময় রূপ নেয় সুখী হওয়ার জার্নিতে। তৈরি হয়েছে আইন-কানুন, সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতা, বসতি আর বিশাল বিশাল সব নির্মাণ । তবু সে সুখ খুঁজে পায়নি। তারপর শুরু হয়েছে যুদ্ধ জাতিতে-জাতিতে, গোত্রে-গোত্রে, দেশে-দেশে, ভাইয়ে-ভাইয়ে আত্মীয়ে-আত্মীয়ে। সে তারপরও সুখ খুঁজে পায়নি। সুখের খোঁজে কী করেনি সে। তারপর শুরু হলো বিনিময় প্রথা। কিছুর বিনিময়ে অন্য কিছু দেওয়া-নেওয়া। তবুও তার আত্মতুষ্টি আসেনি। এরপর এলো কারেন্সির যুগ। জাতি, কাল, পাত্রকে পেরিয়ে কারেন্সির রূপ বদলেছে, বদলেছে তার ভাষা আর অর্থ কিন্তু কারেন্সির ধারণা থেকে গেছে একই রকম। তারপর সেই কারেন্সি আর্ন করাই হয়ে উঠেছে তার মুখ্য উদ্দেশ্য। যুগ পেরিয়েছে, শতাব্দী পেরিয়েছে, পেরিয়েছে মহাকাল; কারেন্সির ভাষা হয়ে উঠেছে সফলতার ভাষা, ক্যারিয়ারের ভাষা। আর এই কারেন্সির কাছে মানুষ ভুলে গেছে তার লাইফের আল্টিমেট কারেন্সির কথা। কারেন্সি দিয়ে মানুষ কিনতে চেয়েছে সব। কিন্তু সুখ যার জন্য তার এতকিছু, সেই সুখটাই রয়ে গেছে অধরা। অ্যারিস্টটল যাকে মানব জীবনের আসল অস্তিত্ব বলেছিলেন, সেই সুখ হ্যাপিনেস নামক অনুভূতিটি মানুষ সোনার হরিণের মতো খুঁজে ফিরছে কেবল। না পেয়ে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে, সবচেয়ে বেশি ধনী হয়ে, সে ঘোষণা করেছে—”মানি কান্ট বাই হ্যাপিনেস!” কারেন্সি দিয়ে সে সব কিনতে পারেনি, কিন্তু আল্টিমেট কারেন্সি যে সুখ সেটা আর্ন করলে মানুষ কিনতে পারত সব। আর মানবজীবনের সেই আল্টিমেট কারেন্সিকে আর্ন করা এবং সুখ অর্জনের সায়েন্টিফিক স্কিলগুলোকে যগুান্তকারী মডেলের মাধ্যমে রপ্ত করার উপায় হলো ‘সুখের সমীকরণ’ বইটি।

লেখক প্রসঙ্গে

কোচ কাঞ্চন। লেখক, উদ্যোক্তা ও হ্যাপিনেস কোচ। কেউ কেউ লেখার জন্য লেখেন, কিছু লেখক জীবনকে উপলব্ধি করে লেখেন। কোচ কাঞ্চন দ্বিতীয় জনরার লেখক; যিনি জীবনের কথা বলেন, জীবনকে নিয়ে ভাবার কথা বলেন। তার লেখনী প্রেরণা দেয়, আর সবচেয়ে বেশি দেয় বেঁচে থাকার এবং নিজেকে শত প্রতিকূলতা থেকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার শক্তি। অ্যাওয়ার্ড উইনিং উদ্যোক্তা, বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্গানিক ব্র্যান্ড ন্যাচারালস-এর ফাউন্ডার কোচ কাঞ্চন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিজনেসকে নিয়ে গেছেন বহির্বিশ্বে। বাংলাদেশি গ্লোবাল ব্র্যান্ড গড়ে তোলার মিশনে ছুটে চলেছেন দেশ-বিদেশে। তার ১৫ বছরের ব্যবসায়িক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত বই বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট। নিজের গল্প আর অভিজ্ঞতাকে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার দুঃসাহসিক প্রয়াস থেকেই লেখক হিসেবে আত্নপ্রকাশ। শুরুটা হয়েছিল ‘রিস্টার্ট ইয়োর লাইফ’ দিয়ে। পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অভিভূত সাড়া, ভালোবাসায় লেখকরূপে নিয়মিত হওয়া। তারপর লিখলেন মাস্টারিং ইয়োর লাইফ। ‘বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট’ তার তৃতীয় বই। লিখে আনন্দ পান। সবচেয়ে তৃপ্তি পান যখন কেউ তার লেখায় অনুপ্রাণিত হন, লাইফে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হাতে নেন। কোচ কাঞ্চন বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা ও সুখ ভিতরে রাখতে নেই, তাকে ছড়িয়ে দিতে হয়। এতে সুখের অনুভূতি আরো দৃঢ় হয়।

"I am specializing in marketing people's hard times happier through my revolutionary EMPOWER model. Helping Bangladeshi Entrepreneurs supercharge their growth, scale their ventures, and build remarkable 8 or 9 figure business. “

Coach Kanchon

Reader's reviews



সুখের সমীকরণ বইটি সম্পূর্ণ পড়ে বার্ট্রান্ড রাসেলের একটি উক্তি মনে পারে গেল একটি বই পড়ার দুটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত একটি হল বইটিকে উপভোগ করা, অন্যটি হল বইটি নিয়ে গর্ব করতে পারা।

"সুখের সমীকরণ" আসলেই গর্ব করার মতো একটি বই। বইটিতে আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি কম্পোনেন্টকে EMPOWER মডেল থিওরির মাধ্যমে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও নিউরোপ্লাস্টিসিটি, মাইন্ডফুলনেস, মানি ম্যানেজমেন্টের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও আলোচিত হয়েছে বইটিতে। বইটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে মেন্টাল, ফিজিক্যাল, ইকোনমিক্যাল হ্যাপিনেস অর্জনের পাশাপাশি মাইন্ডসেট, স্কিলসেট, এবং একশন সেটেও আসবে দারুণ পরিবর্তন। প্রোতিযোগীতা মূলক সমাজ ব্যাবস্হায় সুখ যখন সোনার হরিন তখন সুখের সন্ধানী মানুষের জন্য সুখী হওয়ার চমৎকার কিছু ট্রিকস সমৃদ্ধ বইটি উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক কোচ কাঞ্চন কে।

রায়হান রোমান

Rokomari verified buyer



সুখের সমীকরণ বইটি পড়ে আমি আমার চিন্তা ভাবনা সহজ করতে পেরেছি । জীবনে সুখী হতে আমাকে কোন ওয়েতে ভাবতে হবে খুব সুন্দর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন লেখক কোচ কাঞ্চন স্যার । সময় উপযোগী। বইটি পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে সবার একবার হলেও পড়া উচিত্ সুখের সমীকরণ ।
ধন্যবাদ স্যার কোচ কাঞ্চন নতুন বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।

পলাশ রাতুল 

Rokomari verified buyer

>
Success message!
Warning message!
Error message!